মাঠ থেকে তুলে নেওয়ায় দেশেই চলে গেলেন রোনালদো!

গত বছর ইউভেন্তুসে যোগ দেওয়ার পর নিজের প্রথম মৌসুমে শুধু সেরি আর শিরোপা জেতেন রোনালদো। আতালান্তার কাছে হেরে ইতালিয়ান কাপ থেকে ছিটকে যায় প্রতিযোগিতায় টানা পঞ্চম শিরোপার লড়াইয়ে নামা দলটি। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আয়াক্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হেরে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় তারা। এবারে সেসব আক্ষেপ ভুলতে চান রোনালদো।
“আমরা সেরি আ, ইতালিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে চাই। ইউভেন্তুসের বড় পরিকল্পনা থাকা উচিত। আমরা সব শিরোপাই জেতার চেষ্টা করব। আমরা জানি যে, এটা কঠিন হবে, বিশেষ করে লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। কিন্তু আমি মনে করি এটা সম্ভব। সব কিছুই সম্ভব।”

এক ম্যাচে ঘটনাটা সীমাবদ্ধ থাকলে কথা ছিল। টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও মাঝপথে এসে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ মাওরিসিও সারি। কিন্তু এসি মিলানের বিপক্ষে ম্যাচের ৫৫ মিনিটে মাঠ থেকে তুলে নেয়াটাকে ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি রোনালদো। যার ফলে দেখিয়েছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।
মাঠ থেকে যখন রোনালদোকে তুলে কোচ সারি নামান পাওলো দিবালাকে, তখন সিআর সেভেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে সাইড বেঞ্চে না বসে সোজা চলে যান ড্রেসিং রুমে এবং সেখান থেকে সোজা বাসায়। সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকলো না বিষয়টা। সিআর সেভেন সোজা উড়াল দিলেন নিজ দেশ পর্তুগালের উদ্দেশ্যে। সেখানে তিনি যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও লোকোমোটিভ মস্কোর বিপক্ষে ম্যাচে রোনালদোকে মাঝপথে তুলে নেন কোচ সারি। তিনি মাঠে নামান পাওলো দিবালাকে। ম্যাচ শেষে সারি যদিও যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘আমি অনুভব করেছি, রোনালদো বাঁ-পায়ের গোড়ালিতে একটু টান লেগেছে। এ কারণেই তাকে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছি।’
লোকোমোটিভ মস্কোর বিপক্ষে রোনালদোকে তুলে নেয়ার পর ইনজুরি সময়ের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস। রোববার রাতেও ম্যাচের ৫৫ মিনিটে সিআর সেভেনকে তুলে মাঠে নামান পাওলো দিবালাকে। তার গোলেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভরা।
ম্যাচের ৫৫ মিনিটে রোনালদোকে যখন তুলে নিচ্ছেন কোচ সারি, তখন তাকে হাত ছুড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। দিবালার সঙ্গে আলতো করে হাত মেলান মাঠ ছাড়ার সময়। এরপর কটমট দৃষ্টিতে সারির দিকে তাকিয়ে ছিলেন কিছুটা সময়। মুখও নড়তে দেখা যায় তার। তবে কিছু বলেছেন কি না শোনা যায়নি।
এরপরই রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে না হেঁটে সোজা চলে যান টানেলে। সেই সময় জুভ সমর্থকরাও ব্যঙ্গ করে তাকে লক্ষ্য করে। ড্রেসিংরুমে গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান স্টেডিয়াম ছেড়ে। ম্যাচ শেষ হতে তখনও মিনিট তিনেক বাকি। এর মানে, দিবালা ৭৭ মিনিটে যে গোলটি করেছেন, তা না দেখলেও জেনে গিয়েছিলেন সিআরসেভেন। ইতালির স্কাই টিভি এই রিপোর্ট প্রকাশ করে।






Source: Positive News Bd 

Comments

Popular posts from this blog

বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল বগুড়ার ‘হঠাৎ মার্কেট’

পশ্চিম অঞ্চল রেলওয়ের উন্নয়নের নামে ৪০০ কোটি টাকা লোপাট!

চুরি করতে এসে ঘুমিয়ে গেল চোর!